নিজস্ব প্রতিনিধি ১০ই মে, ২০১৮
ব্রাত্য বসু একজন ভারতীয় বাঙালী অধ্যাপক, নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা এবং একজন রাজনীতিক। ব্রাত্য বসু ২০১৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, এবং এখন পর্যটক মন্ত্রীর পদে আসীন আছেন। ২০১১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের দম দম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েন এবং জয়ী হন।
ব্রাত্য বসু ১৯৬৯ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন অধ্যাপক ড. বিষ্ণু বসু এবং মাতা শিক্ষাবিদ্ ড. নীতিকা বসু। তাঁর সম্পূর্ণ নাম ছিল ব্রাত্যব্রত বসু রায় চৌধুরি। তিনি যথাক্রমে প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
কর্মজীবনের শুরুতে ব্রাত্য বসু কলকাতার সিটি কলেজে বাংলার অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি গণকৃষ্টি নামক নাট্যদলের শব্দ সঞ্চালক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি ওই নাট্যদলের হয়ে নাটক লিখতে ও পরিচালনা করতে শুরু করেন।
নাট্যকার হিসেবে ব্রাত্য বসু আত্মপ্রকাশ করেন ‘অশালীন’ নামের একটি অতি আধুনিক নাটক দিয়ে। এরপরে তিনি ‘অরণ্যদেব’, ‘শাহার ইয়ার’, ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’, ‘চতুষ্কোণ’ প্রভৃতি নাটক লিখেছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে শ্যামল সেন মেমোরিয়াল পুরস্কার, এবং ২০০০ সালে দিশারী পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি নাট্যদল ‘ব্রাত্যজন’এর প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্রাত্য বসু দুটি সিনেমাও পরিচালনা করেছেন, রাস্তা, এক যুবকের আতঙ্কবাদীতে পরিণত হওয়ার কাহিনী, এবং তিস্তা, একটি সামাজিক এবং রোম্যান্সের ব্যর্থতার কাহিনী। তিনি বেশ কিছু ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। তাঁর অভিনীত ফিল্মগুলির মধ্যে ‘কালবেলা’ উল্লেখযোগ্য।
ব্রাত্য বসু ২০১১ সালে কলকাতার দমদম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সি পি এমের বিরূদ্ধে জয়লাভ করেন। এরপর তিনি পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রাজ্যের পর্যটক মন্ত্রী।
এই নিবন্ধটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে এই পেজ এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। নিজের ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।