নিজস্ব প্রতিনিধি ০৮ই মে, ২০১৮
মীর একজন কৌতূকাভিনেতা এবং অভিনেতা। এছাড়াও মীর জি বাংলার বিখ্যাত কৌতুকানুষ্ঠান ‘মিরাক্কেল’এর সঞ্চালক। রেডিও মিরচি নামের জনপ্রিয় বেতার চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সান ডে সাসপেন্স’-এরও তিনি পরিচালনা করেন।
ছোটবেলা
১৯৭৫ খ্রীষ্টাব্দের ১৩ই ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে মীরের জন্ম হয়। মীর পশ্চিমবঙ্গের এক রক্ষণশীল বাঙালী মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মা বাবা তাঁকে কঠোর অনুশাসনে বড় করে তুলেছেন। ছোটবেলায় তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা রেডিওর অনুষ্ঠান শুনতেন, কারণ তাঁদের বাড়িতে টিভি দেখা মানা ছিল, যতদিন না তিনি জুনিয়র হাই স্কুল পাস করছেন। তবে ছোটবেলা থেকেই কৌতুকাভিনয়ের প্রতি মীরের আকর্ষণ ও ভালবাসা ছিল। মীর উমেশ চন্দ্র কলেজ এবং পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন।
চলচ্চিত্র জীবন
অভিনয় জগতে মীরের প্রবেশ নেহাৎই ভাগ্যের জেরে কাকতালীয়ভাবে ঘটেছিল। ১৯৯৪ খ্রীষ্টাব্দের এক বৃষ্টির সন্ধ্যায় কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ার সময় একদিন মীর লন্ড্রি থেকে জামাকাপড় আনতে গিয়েছিলেন, এবং সেই সময়ে কোনওক্রমে যে ছয় দিনের পুরোনো খবরের কাগজে জামা কাপড় গুলো মোড়া ছিল তার দিকে তাঁর নজর পড়ে যায়। সেই সময়েই তিনি দেখতে পান এক বিজ্ঞাপন যাতে কলকাতায় নতুন বেতার চ্যানেলের রেডিও জকির পদের জন্য অডিশনের সংবাদ ছিল। বলাই বাহুল্য এই অডিশনে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং নির্বাচিত হন।
রেডিওতে কৌতুকানুষ্ঠান ছাড়াও অন্যান্য বহু ইভেন্টে মীর অংশগ্রহণ করেছেন। টেলিভিশনে মীর পদার্পণ করেন ‘খাস খবর’ নামের ডিডি বাংলার এক অতি জনপ্রিয় খবরের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে। এরপর তিনি বাঙালী ঘরে ঘরে এক জনপ্রিয় অতি পরিচিত নাম হয়ে যান এবং ‘হাও মাও খাও’, ‘বেটা বেটির ব্যাটল্’ ইত্যাদি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। তিনি কলকাতার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং কলকাতা শহরের অঘোষিত ‘কমেডি কিং’এর শিরোপা লাভ করেছেন।
পারিবারিক জীবন
তাঁর পিতার নাম মীর সুলতান আলি।তিনি বিবাহিত। তাঁর স্ত্রীর নাম শ্রীমতী সোমা ভট্টাচার্য। মীর ও সোমার একটিই সন্তান, মুসকান আলি। বর্তমানে মীর পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতে বাস করেন।
অভিনেতা মীর অভিনীত সিনেমাগুলি হল
Television