নিজস্ব প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী একজন প্রতিভাবান ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। এই বর্ষীয়ান অভিনেতা নিজ অভিনয় গুনে আজও সকলের কাছে সমাভাবে জনপ্রিয় ও প্রশংসিত। ছোট পর্দা হোক বা বড় পর্দা, কৌতুক চরিত্র হোক বা খলনায়ক বা সাধারন মানুষ যেকোন রকমের অভিনয়েই তাঁর স্বাভাবিক অভিনয় প্রতিভার বিকাশ ঘটতে দেখা গেছে।
ছোটবেলা
২৯ শে অক্টোবর ১৯৪৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। বিশ্বজিতের বাবা পেশায় ডাক্তার হলেও তিনি একজন নাট্যানুরাগী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ছোটবেলায় একদিন তাঁর কাকার ঘরে খাটের উপর তৈরী মঞ্চে প্সলস দাশুতে সর্বপ্রথম অভিনয় করেন।
চলচ্চিত্র জীবন
১৯৮১ সালে ৫৩বছর বয়সে বিশ্বাজিৎ চক্রবর্তীর বাবা মারা যান। এরপরেই রোজগারের জন্য তাকে কাজে নামতে হয়। পেশায় তিনি একজন আয়কর পরামর্শদাতা। তার একজন গ্রাহক ছিলেন বিখ্যাত ক্যামেরাম্যান প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী। মূলত তার রেফারেন্সেই বিশ্বজিৎ হায়দ্রাবাদে একটি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তিনি অশোক বিশ্বনাথন এর সিনেমা শূন্য থেকে শুরু তে অভিনয় করে,অভিনয় জগতে আসেন। এরপর একে একে আবার আসবো ফিরে, হাসি খুশি ক্লাব, পাখি, স্মৃতিমেদুর প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন এবং বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তবে শুধু বড়পর্দায় কাজ করেই তিনি থেমে থাকেননি।। ছোট পর্দাতেও সমান দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছেন।
অভিনীত চলচ্চিত্র সমূহ
পাপী, শূন্য থেকে শুরু, হেমন্তের পাখি, কালোচিতা, বন্ধন, আবার আসবো ফিরে, প্রিয়তমা, অন্তরমহল, বিবর, দ্য বং কানেকশান, অভিমন্যু, মহাগুরু, চাঁদের বাড়ি, দশ দিন পর, টলি লাইটস, বর আসবে এখুনি, চতুরঙ্গ, মন মানে না, ধারাস্নান, কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন, জিনিয়াস, জানবাজ, সতেরোই সেপ্টেম্বর, রাজা রানি রাজি, ব্যোমকেশ গোত্র, সব ভুতূড়ে, ইয়েতি অভি্যান, কাহানি২, এই তো জীবন প্রভৃতি।
এই নিবন্ধটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে এই পেজ এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। নিজের ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।